ইসলামের ইতিহাসে মর্যাদাপূর্ণ আশুরা বিভিন্ন ঘটনাপুঞ্জে সমৃদ্ধ হলেও সর্বশেষে সংঘটিত কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)এর শাহাদাতই এ দিবসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মূলত আশুরার এই দিনটিই ইতিহাসে অধিক স্মরণীয়। ইমাম হোসাইন (রা) নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শাহাদাত বরণ করেছেন তবুও ইয়াজিদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনক্ষমতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেননি। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য এমন আত্মোৎস্বর্গের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে নজীরবিহীন। যারা অত্যাচারী ও মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তাদের মোকাবেলায় সব সময় শাহাদাতের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত পেশ করতে হয়েছে। রাষ্ট্রে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে শাহাদাতের তামান্না আজও দেশে দেশে দৃশ্যমান। তাই দেশকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে সত্য ও ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকতে হবে। মূলত ত্যাগ ও কুরবানি ছাড়া কখনোই ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
আজ ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত পবিত্র আশুরার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সাত্তার সুমন, শাহীন আহমদ খান, আশরাফুল আলম ইমন সহ জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।