বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর পাশাপাশি আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সাথে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র জনতার পাশাপাশি যুব সমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যুব ও সেচ্ছাসেবক বিভাগীয় থানা প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ও যুব বিভাগের দায়িত্বশীল মুহাম্মদ কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসেন ও ড. আবদুল মান্নান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমান, ড. মোবারক হোসেন, আব্দুস সালাম প্রমুখ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যুব সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখি, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুব সমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় ¯্রােতের গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদেরকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুব সমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুব সমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমিরের মত প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুব সমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই বরং সত্যের পতাকা উড্ডীন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।