বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, আব্দুর রব ও মোবারক হোসাইনসহ ১০ নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং চারদিন রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম বুলবুল বিবৃতি দিয়েছেন।
প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ইসলামী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর নেতৃবৃন্দ এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখান থেকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বহুবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের রোগী। অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা হামিদুর রহমান আযাদ করোনা আক্রান্ত থেকে কেবল সুস্থ হয়েছেন; এখনো তিনি শারিরীকভাবে দুর্বল। নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব ও ইজ্জত উল্লাহ বয়োবৃদ্ধ সম্মানিত নাগরিক এবং নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মাত্র। এখনো তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও মাওলানা হামিদুর রহমান আযাদ সংসদ সদস্য ছিলেন। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য। অন্যান্যরা প্রত্যেকেই সমাজের সর্বজন স্বীকৃত জনপ্রিয় জননেতা। ঘরোয়া বৈঠক থেকে তাদের গ্রেফতার প্রমাণ করে সরকার একনায়কতন্ত্র ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
দেশের নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত একটি ইসলামী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও বিনাকারণে রিমান্ডে নেয়া সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। দেশে শীর্ষ অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফিরা করলেও জামায়াতের মতো সুশৃংখল রাজনৈতিকদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে রিমান্ডে নিয়ে সরকার তাদের উপর চরম জুলুম করেছে।
তিনি বলেন, অন্যায় ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গ্রেফতার, নির্যাতন, নিপীড়ন ও রিমান্ডে নিয়ে জামায়াতকে দুর্বল করা যাবে না। বরং এর মাধ্যমে জামায়াত আরো শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দলে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।
অবিলম্বে রিমান্ড বাতিল করে নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।