বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ঢাকা নগরবাসী প্রতি মাহে রমজানের শুভেচ্ছা এবং মাহে রমজানের রোজা পালন ও কুরআনের যথাযথ জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি-আত্মগঠন ও তাকওয়া অর্জনের আহবান জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
যৌথ বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরী নেতৃবৃন্দ বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে “বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে পবিত্র মাহে রমাদান। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘এ মাসের প্রথম অংশ রহমতের, মধ্যবর্তী অংশ মাগফিরাতের ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে নাজাতের।’ এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর নামে একটি বরকতময় রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি ফরজ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য মাসের সত্তর টি ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; আর একটি নফল কাজের আঞ্জাম দিলে একটি ফরজ কাজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাস তাক্বওয়া ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীলতার মাস।
দেশে করোনা ভাইরাসের এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মানুষ একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের উপার্জন বন্ধ হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এ সকল অসহায় মানুষের পাশে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে সামর্থবানদের দাঁড়ানোর জন্য আমরা আহবান জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আত্মশুদ্ধি-আত্মগঠন ও তাকওয়া অর্জনের মাস পবিত্র মাহে রমযান। সিয়াম সাধনার মাসে যাবতীয় পাপাচার থেকে নিজের নফস ও প্রবৃত্তির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে নিজেকে আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলাই রমজানের অন্যতম শিক্ষা।
আল্লাহর বিধান না মানার কারণেই আজ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের এই মহাদুর্যোগ আপতিত হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘তোমাদের উপর যে বিপদ-আপদ এসেছে তা তোমাদের হাতের কামাই। অনেক অপরাধ তো আল্লাহ ক্ষমাই করে দেন।’ আজ সমাজে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, ঘুষ, দুর্নীতি, শোষণ, জুলুম, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা এবং মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড-সহ নৈতিক অবক্ষয় ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে; যে কারণে মানুষের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপদ-আপদ আসছে।তাই সর্বপর্যায়ে আল্লাহর বিধান মেনে চললেই সমাজ থেকে সকল প্রকারের পাপাচার-অপরাধ দূর হবে এবং বিপদ-আপদ ও আজাব থেকে মানুষ রেহাই পাবে।
রমজান মাস হলো প্রশিক্ষণের মাস। এই মাসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ বারোটি মাস সত্য ও সুন্দরের পক্ষে চলার পাথেয় অর্জন করে। মাহে রমজান কুরআন নাজিলের মাস। কুরআন হচ্ছে মানবতার মুক্তির সনদ। এবং কুরআনের অনুশ্বাসন মেনে চলার মাধ্যমেই দুনিয়ার শান্তি ও পরকালিন মুক্তি নিশ্চিত সম্ভব। কুরআন নাজিলের মাসে কুরআনের শাসন প্রতিষ্টার সংগ্রামে শামিল হতে নেতৃবৃন্দ নগরবাসীকে আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য পবিত্র রমাদানের এই সময়ে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিশেষভাবে দোয়া করার জন্য সকলের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।