বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতিসন্তান মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, তরুণ যুবকেরা একে অন্যকে সহযোগিতার মাধ্যমে আগামীর দেশ, সমাজ রাষ্ট্র গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। খেলার মাঠে যেমন পুরো টিমের সবার একই চিন্তা থাকে বিজয়ী হওয়ার। তেমনি রাষ্ট্রের বৃহৎ স্বার্থে ঐক্য মত হয়ে সুদূর প্রসারী বিজয় উদযাপন করার জন্য এক লক্ষ্য-চিন্তা নিয়ে জাতি বিনির্মানে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে তাদেরকেই প্রথম উদ্যোগ নিতে হবে। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ইসলামী নেতৃত্বকে এই সমাজের সত্যিকার পরিবর্তনে নির্বাচিত করতে সকলের কাজ করতে হবে।
তিনি আজ ২০ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাণীহাটি ইউনিয়নের ফুটবল টূর্ণামেন্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আমীর আ: আলিম, উপজেলা নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি আ: রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম যে অসাধ্য সাধন করতে পারে সেটা বাংলাদেশ জুলাই বিপ্লবে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই প্রত্যক্ষ করেছে। দারুণ সাহসী আর সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মকে উপেক্ষা করার আর সুযোগ নেই। তাদের নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে আধুনিক বিশ্বের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজে লাগাতে হবে। তরুণ প্রজন্ম দুর্নীতি, বৈষম্য এবং দমন-পীড়ন নীতির বিরোধিতা করে। সেজন্যই তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষায় জীবন বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী সংগঠন হিসেবে সকল মানুষের কাছে আজ গ্রহণযোগ্য নাম বা একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী তার গণমুখী সকল প্রয়াস অব্যাহত রাখবে। কারণ আমরা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই। একজন মুমিন মুসলিম হিসেবে আমরা সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাই। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের এই আন্দোলনে জুলুম নির্যাতনের সকল পর্যায়ে আমরা সফলকাম হতে চাই। সে প্রচেষ্টায় প্রিয় চাপাইনবাবগঞ্জ সহ সমগ্র দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে, আমরা সৎ নেতৃত্বেও মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সত্যিকার সুখী সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তুলতে চাই।