বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের বিচার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে। এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সাথে কৃষক, শ্রমিক, বৃদ্ধ, শিশু সকলেই অংশগ্রহণ করেছেন। জীবন দিয়ে, আহত হয়ে এবং অন্ধত্ব বরণের বিনিময়ে আমরা যে মুক্ত দেশ পেয়েছি ঐক্যবদ্ধভাবে সেই দেশকে গঠন করতে হবে।
বুধবার ২৮ আগস্ট রাজধানীর আজিমপুর এস্টেট জনকল্যান সমিতি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রটারী দেলওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগইরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ইনঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অতি দ্রুত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা প্রনয়ণ করতে হবে। শহীদদের সন্তান ও পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ এবং পঙ্গুত্ববরণকারীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদেরকে সম্মানের সাথে বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। আহতদের বিনামূল্যে সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের পাশেও দাড়াতে হবে।
শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের পরিবারের সদস্যরা দেশের জন্য শাহাদাত বরণ করেছেন, এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন। শহীদের পরিবার দুনিয়াতে সম্মানিত এবং কিয়ামতের দিনেও মর্যাদা প্রাপ্ত হবেন। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয় তার হিসাব কেউ রাখে না অথচ যারা ছাত্র-জনতা অভ্যুন্থানে শহীদ হয়েছেন বাংলাদেশ যত দিন টিকে থাকবে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তারা এ জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। শহীদ পরিবার যারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাষ্ট্র দেরি করলেও জামায়াতে ইসলামী নিজ সামর্থ্যের আলোকে সবসময় আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবে ইনশাআল্লাহ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করতে না পেরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে অথচ আজ জনগণই তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই জামায়াত-শিবিরই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তিনি গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে যথাযোগ্য সম্মান ও পুনর্বাসনের আহবান জানান।